রাজশাহী: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় এক আওয়ামী লীগ সমর্থকের হাঁসুয়ার কোপে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মোহনপুর উপজেলার ধুরইল ইউনিয়নের বড় পালশা গ্রামে এই খুনের ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম সাদ্দাম হোসেন (৩০)। তিনি ওই গ্রামের আয়েন উদ্দিনের ছেলে।
এই হামলার সময় নিহত সাদ্দামের বড় ভাই মো. বুলবুল (৪৫) গুরুতর আহত হন। আর মূলত তাকে বাঁচাতে গিয়েই আওয়ামী লীগ সমর্থকের হাঁসুয়ার কোপে সাদ্দামের মৃত্যু হয়। বুলবুলকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া নিহত সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেই রাখা হয়েছে।
এদিকে হামলার ঘটনার পরপরই মোহনপুর থানা পুলিশ ওই গ্রাম থেকে অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সমর্থক একসার আলীকে আটক করেছে।
রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, রাজনৈতিক দ্বন্দ্বে আকস্মিক হামলার ঘটনায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। দল সমর্থন করা নিয়েই ঘটনার সূত্রপাত। হামলায় নিহত সাদ্দাম হোসেন ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আর তার বড় ভাই আহত বুলবুল একই ইউনিয়নের কৃষক দলের সদস্য। এছাড়া অভিযুক্ত একসার আলী আওয়ামী লীগের একজন স্থানীয় সমর্থক। আওয়ামী লীগ সমর্থন করেন, এটুকুই। তার কোন পদ-পদবি নেই। তবে অভিযুক্ত একসার আলীর ভাতিজা আকতার হোসেন ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি।
রাজশাহীর মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হান্নান জানান, রাজনৈতিকভাবে নিজ নিজ দল সমর্থন নিয়ে সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একসার আলীর সঙ্গে স্থানীয় কৃষক দল নেতা বুলবুলের প্রায়ই কথা কাটাকাটি হতো।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এমন একটি ঘটনার সূত্র ধরে একসারের বাড়ির সামনে তাদের দুজনের আবারও কথা কাটাকাটি শুরু হয়।
এর একপর্যায়ে আওয়ামী লীগ সমর্থক একসার আলী দৌড়ে বাড়ি থেকে হাঁসুয়া এনে বুলবুলকে কোপাতে শুরু করেন। এ সময় বড় ভাইকে কোপাতে দেখে এগিয়ে এলে ছোট ভাই সাদ্দাম হোসেনকেও হাসুয়া দিয়ে কোপ দেওয়া হয়৷
পরে এলাকার লোকজন তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। কিন্তু পথেই সাদ্দামের মৃত্যু হয়। এরপর আহত বুলবুলকে রামেক হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওসি আরও জানান, ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ সমর্থক একসার আলীকে আটক করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে একসার আলীর নামে মামলা হবে।
এছাড়া নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হবে বলেও জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।