ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে তিনি ভারতে অবস্থান করছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সজীব ওয়াজেদ জয় তার মায়ের দেশে ফেরা নিয়ে কথা বলেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসি থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে সাক্ষাৎকার দেন। বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) তার এ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা কবে দেশে ফিরতে পারেন জানতে চাইলে তিনি উত্তর দেন, এটি তার ওপর নির্ভর করবে। তিনি দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত।
জয় বলেন, এই মুহূর্তে আমি আমার দলের লোকদের নিরাপদ রাখতে চাই, তাই আমি দলের নেতাকর্মীদের ওপর চালানো নৃশংসতা সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সচেতনতা বাড়াতে চাই।
এর আগে গত মাসে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ছাত্রদের দাবি করা আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়ে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে বিচারের মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত। এছাড়া আওয়ামী লীগ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় বলেও জানান তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাস থেকে দিল্লির কাছাকাছি আশ্রয়ে রয়েছেন শেখ হাসিনা। এ সময়ে আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতাকে আন্দোলনে এক হাজারের বেশি নিহতের ঘটনায় সম্পৃক্ততায় অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া অনেকে আত্মগোপনে চলে গেছেনে। জয় অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।
সাক্ষাৎকারে আগামী নির্বাচন ইস্যুতে কথা বলেছেন জয়। ১৮ মাসের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের দেওয়া টাইমফ্রেম নিয়ে তিনি বলেন, সম্ভাব্য সময় প্রত্যাশার চেয়ে অনেক দেরি। তার দল আওয়ামী লীগকে ছাড়া দেশে প্রকৃত সংস্কার ও নির্বাচন অসম্ভব।
এ দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। তালিকায় প্রাথমিকভাবে ৭০৮ জন শহীদের পরিচয় জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব উম্মে হাবিবা স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্টে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের ওয়েবসাইট (www.hsd.gov.bd) এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (www.dghs.gov.bd) প্রকাশ করা হয়েছে। তথ্য সংশোধন/সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই/সংশোধন/পূর্ণাঙ্গ করতে শহীদ পরিবারের সদস্য/ওয়ারিশ/প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।