নোয়াখালী সদর উপজেলার ২০ নং আন্ডারচর ইউনিয়নের আন্ডারচর গ্রামের আবুল কালাম নামের এক নিরীহ দিনমজুরের পরিবারকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। একই এলাকার জোতদার ইব্রাহিম শামীম তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আদালতে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি তার বাহিনী দিয়ে নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছে। এ ঘটনায় নিরীহ আবুল কালাম ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
ভুক্তভোগী দিনমজুর আবুল কালাম জানায়, গত ০২ আগস্ট সন্ধ্যা রাতে আমার মেঝো ছেলে মিরাজ (১৪), সেজো ছেলে সিরাজ (১২) ও ছোট ছেলে রিয়াজ (১০) একই গ্রামের মৃত আব্দুস সালামের বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় আব্দুস সালামের বড় ছেলে সিরাজ ও তার ছোট ভাই ইব্রাহিম শামীম (বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কর্মরত) সহ তার অন্যান্য ভাইয়েরা একত্রিত হয়ে আমার ছেলেদের বেদম মারধর করে। ছেলেদের চিৎকারে আমার স্ত্রী ও আমার মেয়ে উদ্ধার করতে এগিয়ে আসলে তাদেরকেও বেদম মারধর করে। ঘটনার সময় আমি ও আমার বড় ছেলে মিলন কুমিল্লা দাউদকান্দি ছেলের শশুর বাড়িতে ছিলাম। ঘটনার পরপরই স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মানিক চৌধুরীকে ঘটনাস্থলে পাঠালে সে গিয়ে আমি ও আমার বড় ছেলে মিলন না থাকায় পরে বিচারের আশ্বাস দিয়ে চলে যায়। কিন্তু ইব্রাহিম ওই ঘটনার কিছু দিন পর বাদি হয়ে গোপনে আমি ও আমার ছেলে মিরাজ এবং মিলনের নামে নোয়াখালী বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ০১ নং আমলী আদালমে মিথ্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং- সি.আর. মামলা নং-১৩৬২/২০২৪ ইং। অথচ মামলায় উল্লিখিত ঘটনার দিন ও সময় আমি ও আমার বড় ছেলে কুমিল্লা দাউদকান্দি ছেলের শশুর বাড়িতে ছিলাম এবং সেখান থেকে ১৪ দিন পর আসি। অথচ আমরা ঘটনার তারিখ সময়ে উপস্থিত না থাকা স্বত্তেও আমাদের নামে ও আমার মেঝো ছেলে মিরাজ ১৪ বছর বয়সী নাবালক ছেলের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে ।
আবুল কালাম আরো জানায়, সন্ত্রাসী ইব্রাহিম রাতের বেলায় তাদের বাড়ির আশে পাশে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঘুরাঘুরি করে। যে কোন মুহুর্তে তাদের উপর হামলা করতে পারে বলে অভিযোগ করেন। তাই এ ব্যাপারে আইন উপদেষ্টা, নোয়াখালী পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এলাকাবাসী জানায়, ঘটনার সময়ে আবুল কালাম ও তার বড় ছেলে মিলনকে দেখা যায় নি। কয়েক দিন পর তারা এলাকায় এসেছে। এই ঘটনায় তাদের কেন মামলার আসামী করা হয়েছে এই প্রশ্ন এলাকাবাসীর।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছি। তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দিব।