শাজাহানপুরে ‘সন্ত্রাসের জনপদ’খ্যাত সাবরুলে স্বেচ্ছাসেবক লীগ কর্মী সাগর তালুকদার ও তার বাহিনীর সদস্য স্বপন প্রামাণিক খুনের ঘটনায় মামলার পর এলাকা পুরুষশূন্য হয়ে পড়েছে।
আসামিরা হলেন-উপজেলার আশেকপুর ইউপি চেয়ারম্যান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক হযরত আলী, সাবরুল হাটখোলাপাড়ার ব্যবসায়ী পান্নু তালুকদার, বাগিনাপাড়ার আবদুল জলিল, নগরপাড়ার রবিউল ইসলাম, নন্দকুল গ্রামের ছোট শাহীনসহ ১৯ জন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, সাগর তালুকদার ২২ সেপ্টেম্বর বিকালে সাবরুল কারিগরপাড়ার মুক্তার হোসেনের মোটরসাইকেলে দেশমা হোদ্দপুর গ্রামে পত্তন নেওয়া পুকুরে মাছের খাবার দিতে যান। যাওয়ার পথে সাবরুল হাটখোলাপাড়ার স্বপন প্রামাণিককেও সঙ্গে নিয়ে যান।
এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ি ফেরার পথে সাবরুল ছোট মণ্ডলপাড়ায় পৌঁছলে সেখানে বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত আসামিরা তাদের পথরোধ করে। এ সময় পান্নু তালুকদারের হুকুমে অন্য আসামিরা সাগর, স্বপন ও মুক্তারকে কুপিয়ে জখম করেন।
থানার ওসি ওয়াদুদ আলম জানান, নিহত সাগর তালুকদারের বিরুদ্ধে দুটি হত্যাসহ ১৭টি মামলা আছে। হত্যার কারণ হিসাবে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্র“তার জের উলেখ করা হয়েছে।