আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে তাবলীগ ও বিশ্ব ইজতেমা নিয়ে একটি চিহ্নিত রাজনৈতিক দলের নেতাদের সংবাদ সম্মেলনকে তাবলীগের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে অনাধিকার চর্চা ও দেশের জন্য অশনি সংকেত বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশ এর সাথে সংশ্লিষ্ট দেশের শান্তিপ্রিয় শতাধিক শিক্ষাবিদ উলামায়ে কেরাম।
আজ ১২ নভেম্বর রোজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে তাবলীগ জামাত নিয়ে ওলামা মাশায়েখের ব্যানারে একটি সংবাদ সম্মেলন লক্ষ্য করলাম। যেখান থেকে একটি রাজনৈতিক দলের নেতারা তাবলীগের নাম ব্যাবহার করে দেশকে অস্তিতিশীল করে তোলার পায়তারা করছেন ও সরকারকে হুমকি দিয়েছেন। তাবলীগ জামাত সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সংগঠন। এখানে রাজনৈতিক ব্যাক্তিদের অযাচিত হস্তক্ষেপ ও সংঘাত সৃষ্টির পায়তারা দেশের শান্তিপ্রিয় আলেম উলামা ও সাধারণ মুসল্লীরা বরদাশাত করবেন না বলে তারা হুশিয়ারী প্রকাশ করেন। ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দিয়ে দোশকে অচল করে দেয়ার হুমকি সরকার ও গোয়েন্দা সংস্থাকে খতিয়ে দেখতে হবে। তাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করা জরুরী বলে মনে করেন আলেমরা। সংবাদ সম্মেলনে অধিকাংশ বক্তব্য ছিল চরম মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর।
আলেমরা বলেন, জনবিচ্ছিন্ন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নামে বারিধারা মাদরাসা কেন্দ্রিক একটি ক্ষুদ্র রাজনৈতিক দলের নেতা ও কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলগণ গতকাল তাবলীগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এখানে খোদ তাবলীগের আলমি শূরা বা কাকরাইলের কোন মুরুব্বিও ছিলেন না। জুবায়েরপন্থীরা কিছু রাজনৈতিক দলের নেতাদের ব্যাবহার করে তাবলীগের কার্যক্রম জবরদখল করছেন। আজকের সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ন-মহাসচিব ফজলুল করিম কাসেমী, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম, মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর সহ-সভাপতি নাজমুল ইসলাম, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দিন যাকারিয়া, মাসউদুল করিম, কেফায়তুল্লাহ আজহারী প্রমূখ।
আলেমরা বিবৃতিতে বলেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম নিজেরা ৫ভাগে বিভক্ত হয়ে এখন এসেছেন তাবলীগে খবরদারী করতে। এই রাজনৈতিক নেতাদের তাবলীগ নিয়ে উচ্চাভিলাষ বন্ধ না করলে, তাদের উস্কাণীমূলক বক্তব্যে দেশে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত ছড়িয়ে পরার আশংকা করা হচ্ছে। তাবলীগ নিয়ে হেফাজত ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এর নেতাদের আস্ফালন, হুমকি-ধমকি ও মিথ্যাচারের নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই।
বিবৃতিদাতারা হলেন, দেশের শীর্ষ আলেমে দ্বীন, জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড এর উপদেষ্টা মুফতী ইজহারুল ইসলাম চৌধুরী, শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুর রাজ্জাক কাসেমী বসন্ধুরা, শায়খুল হাদীস মাওলানা আবদুল্লাহ কাসেমী, মাওলানা শেখ আবদুল্লাহ মনসুর কাসেমী, সৈয়দপুর মাদরাসা বাকিয়াতুস সালিহাত মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম শায়খুল হাদীস আল্লামা আনোয়ারুল আলম জাফর কাসেমী, মারকাযুল ফিকহিল ইসলামি, উত্তরা, ঢাকার মুহতামিম মাওলানা ইবরাহীম শিলাস্থানী, মাদরাসায়ে হামিউস সুন্নাহ হবিগঞ্জের প্রতিষ্ঠাতা মুহতামিম, বিশিষ্ট মুহাদ্দিস মাওলানা আবদুল হক ইসলামপুরী, মুফতী মুহাম্মদ আলী, ভোলা, শায়খুল হাদীস মুফতী নুরুল ইসলাম কাসেমী, নোয়াখালী, শায়খুল হাদীস মাওলানা হুসাইন আহমদ রংপুর, হাফেজ ওজিউল্লাহ বগুড়া মাওলানা আনাস বিন মুজাম্মেল, জাতীয় কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান মাওলানা জিয়া বিন কাসেম, মহাসচিব মুফতী সৈয়দ উসামা ইসলাম, মুফতী আজীমুদ্দীন, মাওলানা সাইফুল্লাহ বিন নূরী, জামিয়া কাশিফুল উলুম ঢাকার মুহতামিম লেখক ও গবেষক মাওলানা সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ, দারুল উলুম হমিউস সুন্নাহ ঢাকার মুহতামিম মুফতী মু’আয বিন নূর, মারকাজুুস সফফা আল ইসলামিয়ার মহাপরিচালক মুফতী পীর শফীউল্লাহ মক্কী, মুফতী আরিফুর রহমান আলিফ, মাওলানা জিয়াউর রহমান ঢাকা, মুফতী বুরহান আহমদ ঢাকা, মুফতি সানাউল্লাহ ঢাকা, মুফতী মিজানুর রহমান ঢাকা, মাওলানা ফজলুল হক ঢাকা, সৈয়দ জাবের কাসেমী ঢাকা, মাওলানা মাহদী ঢাকা, মাওলানা আবদুল্লাহ আল মাহমুদ ঢাকা, মাওলানা আবদুল্লাহ ভাড়ালিয়া, মাওলানা আজিজুল হক সেলিম মিরপুর, মুফতী ড. বশির উল্লাহ মানিকগঞ্জ, মাওলানা মোস্তাফা টাঙ্গাইল, মুফতী নিজামুদ্দীন বখশি টাঙ্গাইল, মাওলানা আনোয়ার ফরীদপুর, মাওলানা আমীনুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ, মাওলানা আশরাফ কিশোরগঞ্জ, মাওলানা শরীফ আহমদ রাজবাড়ি, মাওলানা নূরুল হক নারায়ণগঞ্জ, মাওলানা ফুরকান নারায়নগঞ্জ, মাওলানা নূরুল আফসার লালখান বাজার চট্টগ্রাম, মুফতি ইয়াহইয়া মাহমুদ কুমিল্লা, মাওলানা আযীযুল করীম চট্টগ্রাম, মাওলানা সা’দ বিন মুজাম্মিল কক্সবাজার, মুফতি সালাহুদ্দীন চট্টগ্রাম, মুফতি মুহিব্বুল্লাহ খাগড়াছড়ি, মাওলানা রেদওয়ান কক্সবাজার, মাওলানা আবদুল্লাহ চাঁদপুর, মাওলানা আবদুল আজীজ চট্টগ্রাম, মাওলানা নাসিম চট্টগ্রাম, মুফতী ইনায়াতুল্লাহ কক্সবাজার, মাওলানা মামুন বরিশাল, মাওলানা হাবীবুল্লাহ বরিশাল, মাওলানা জাবের ভোলা, মাওলানা মাসঊদুর রহমান পটুয়াখালী, মাওলানা আবু সালেহ ঝালকাঠি, মাওলানা রেজাউল হক পিরোজপুর, মুফতি মাহমূদ হাসান বরিশাল, মাওলানা আবদুল হাই পটুয়াখালী, মাওলানা শহীদুল ইসলাম বরিশাল, মাওলানা আবু সালেহ ঝালকাঠি, মাওলানা রেজাউল হক পিরোজপুর, মুফতি মাহমুদুল হাসান বরিশাল, মাওলানা মুজাহিদ রংপুর প্রমুখ।