জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতার বন্ধন আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যে এনজিও বিষয়ক বুর্যোর উদ্যোগে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এনজিও বিষয়ক বুর্যোর মহাপরিচালক মো: সাইদুর রহমান বলেন, বাংলাদেশে ৭০এর ঘুর্ণিঝড়সহ সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রেমাল ও পুর্বাঞ্চলের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের প্রতি জাপান সরকারসহ জাপানী এনজিওদের সহোযোগিতার কথা আমরা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ যে কোনো দুর্যোগে বাংলাদেশের দরিদ্র ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সার্বিক উন্নয়নে জাপানের সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন । সভায় বাংলাদেশে অবস্থিত জাপান দূতাবাস, জাপানী উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, জাপান হতে অনুদানপ্রাপ্ত এনজিও-দের প্রতিনিধিবৃন্দ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরো-র কর্মকর্তাবৃন্দ এবং দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তাসহ মোট ৪৫জন অংশগ্রহণ করেন।
মতবিনিময় সভায় মো: সাইদুর রহমান আরও বলেন, জাপান বাংলাদেশের দীর্ঘ পাঁচ দশকের পরীক্ষিত বন্ধু এবং জাপানের উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির সবচেয়ে বড় গন্তব্য বাংলাদেশ। বাংলাদেশ জাপানের সাথে বিগত বছরগুলোর মতো সামনের দিনগুলোতেও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখবে বলে আমি মনে করি।
হিরোতো তানাকা, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জিএডএই (Japan Agency for Development and Emergency (JADE) বলেন, বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক বন্যায় নোয়াখালী অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে খাদ্র্য ও পুনর্বাসন সহায়তার পাশাপাশি মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া উচিত। কারণ মানুষকে মনোসামাজিক সুরক্ষা দিতে না পারলে পুনর্বাসন কার্যক্রম স্থায়িত্¦শীল হবে না।
মোহাম্মদ সাইদুর রহমান, ডিরেক্টর, বাংলাদেশ ডিসাস্টার প্রিপ্রেয়ার্ডনেস সেন্টার সভায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ”১৯৭০’ এর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী উদ্ধার কার্যক্রম, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কাজের মধ্য দিয়ে জাপানিজদের সাথে আমার কাজ করা শুরু হয়, যা আজও অব্যাহত রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশা করছি। তিনি আরো বলেন, আমাদের এনজিওদের কাজ হচ্ছে, বাংলাদেশ সরকারের সহযোগী হয়ে গ্রামীণ, দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের সচেতন ও আর্থিকভাবে সক্ষম করে তোলা। এইসব কাজ সহজ ও গতিশীল করার জন্য আমাদের এনজিও বিষয়ক ব্যুরো-র সহযোগীতা প্রয়োজন।
সভা সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: রফিকুল আলম। তিনি বাংলাদেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, দৃশ্যমান-অদৃশ্যমান অবকাঠামো, সুনীল অর্থনীতি ও মানবসম্পদ উন্নয়নে জাপান সরকারের অবদানের কথা উল্ল্যেখ করেন ও ধন্যবাদ জানান।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এনজিও বিষয়ক বুর্যোর কর্মকর্তা বিপুল চন্দ্র দাশ, মো: মুনির হোসেন, মইদুল ইসলাম, মো: আনোয়ার হোসেন, জাপান দূতাবাসের কর্মকর্তা শিনজো কারাসাওয়া, দাইচি ইয়াসাকি সহ অন্যান্যরা।